এবিএনএ : বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি হওয়া রিজার্ভের আরো ৪৩ লাখ ডলার (২০০ মিলিয়ন পেসো) ফিলিপাইনের মুদ্রাপাচার প্রতিরোধ কাউন্সিল-এএমএলসিকে ফেরত দিয়েছেন দেশটির ক্যাসিনো ব্যবসায়ী কাম সিন অং ওরফে কিম অং।
মঙ্গলবার ফিলিপিন্সের সিনেট কমিটির শুনানিতে এএমএলসির নির্বাহী পরিচালক জুলিয়া বাকে আবাদ জানান, সোমবার তার কোম্পানি ইস্টার্ন হাওয়াই লেইজার কোম্পানি লিমিটেড এই অর্থ ফেরত দিয়েছে।
জুলিয়া বাকে আবাদ বলেছেন, এটা বাংলাদেশের জনগণের কাছে পাঠানো হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ৮১ মিলিয়ন ডলার চুরির ঘটনায় ফিলিপাইনের সিনেটে ষষ্ঠবারের মতো শুনানি চলছে।
কিম অংয়ের পক্ষ থেকে এর আগে গত ৩১ মার্চ ৪৬ লাখ ৩০ হাজার ডলার এবং ৪ এপ্রিল আট লাখ ৩০ হাজার ৫৯৫ ডলার এএমএলসিকে ফেরত দেয়া হয়।
এনিয়ে এই ক্যাসিনো জাঙ্কেট এজেন্টের কাছ থেকে মোট ৯৮ লাখ ডলার ফেরত এসেছে।
যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভে সঞ্চিত বাংলাদেশের অর্থ থেকে হাতিয়ে নেওয়া অর্থের মধ্যে প্রায় দুই কোটি ১৫ লাখ ডলার অংয়ের কোম্পানিতে গিয়েছিল।
এর মধ্যে ৪৫০ মিলিয়ন পেসো শুহুয়া গাও নামে এক চীনা ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ধার পরিশোধ হিসেবে পেয়েছিলেন বলে দাবি কিম অংয়ের। এই অর্থ ফেরতের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন অং।
অংয়ের ভাষ্যমতে, বেইজিংয়ের শুহুয়া গাও এবং ম্যাকাওয়ের ডিং জিজের নামে দুজন জালিয়াতির মাধ্যমে বাংলাদেশের ঐ অর্থ ফিলিপাইনে নিয়েছিলেন।
কিম অং বলেন, তার হাতে আসা অর্থের বাকি ৫৫০ মিলিয়ন পেসো জুয়ার টেবিলে গিয়েছিল। তার মধ্যে ৫১০ মিলিয়ন পেসো মিডাস হোটেল ও ক্যাসিনোয় হার হয়েছিল।
মিডাস হোটেল অ্যান্ড ক্যাসিনো এবং সোলাইরি রিসোর্ট অ্যান্ড ক্যাসিনোর অপারেটরদের প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংকের চুরি যাওয়া অর্থের অংশ ফেরত দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন ফিলিপাইনের সিনেটররা।
এএমএলসি কিছু অর্থ উদ্ধার করতে পারলেও তা বাংলাদেশের হাতে আসতে ‘কিছুটা সময় লাগবে’ বলে জানিয়েছেন ম্যানিলায় বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত জন গোমেজ।
কিম অংয়ের বক্তব্য অনুযায়ী, বাংলাদেশের ৮১ মিলিয়ন ডলারের মধ্যে ৬৩ মিলিয়ন ডলারই এই দুই ক্যাসিনোয় ঢুকেছিল। বাকি ১৭ মিলিয়ন ডলার মুদ্রা বিনিময়কারী সংস্থা ফিলরেমের কাছে রয়েছে বলে দাবি করেছেন তিনি। তবে সংস্থাটি এই দাবি অস্বীকার করেছে।